আমাদের সম্পর্কে

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি হযরত শাহজালাল (রহ:) এর পূণ্যভূমি আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটের শিক্ষা বিস্তারে সোবহানীঘাট (বিশ্বরোড) উপকন্ঠ এলাকায় অবস্থিত সুপরিচিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ কলেজ, সিলেট। কোলাহলমুক্ত, নয়নাভিরাম নিরিবিলি পরিবেশ ও যানজটমুক্ত এলাকায় অত্যাধুনিক নিজস্ব ভবন নিয়ে আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস। এতে রয়েছে ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য পৃথক আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, বৃহৎ ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব ও বিজ্ঞানাগার। আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর জালালাবাদ কলেজ, সিলেট। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর যুগোপযোগী কারিকুলামে এই শিক্ষায়তনে তৈরি হচ্ছে আধুনিক, মেধা ও মননশীল চেতনার নৈতিক মনোত্তীর্ণ একদল শিক্ষার্থী যারা সফলতার ঐশ্বর্যে বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে দেশ-দেশান্তরে।

চলুন ঘুরে আসি আমাদের ভার্চুয়াল ক্যাম্পাস

ভার্চুয়াল ক্যাম্পাস এ সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয় অনলাইনের মাধ্যমে

সুযোগ-সুবিধা

  • লাইব্রেরী

  • কম্পিউটার ল্যাব

  • ফিজিক্স ল্যাব

  • কেমেস্ট্রি ল্যাব

  • বায়োলজি ল্যাব

  • কলেজ হোস্টেল

  • রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ

  • সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত

অনলাইন ভর্তি আবেদন করতে

অনলাইন ফরমটি পূরণ করে পাঠিয়ে দিন আমাদের কাছে, আমরা আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবো।

আমাদের সম্পর্কে গুণীজনের মন্তব্য

  • শুভেচ্ছা বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি চর্চা, এ শিল্পমাধ্যমের অনুসরীদের কল্যানে একটি ভাল অবস্থানে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এ কর্মকান্ডের সূচনাতে যারা আসেনি, একদিন ক্যালিগ্রাফি ও অবস্থানে উন্নীত হতে সক্ষম হবে। নবীন ও পারদর্শী ক্যালিগ্রাফার, যারা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন আপন কর্মক্ষেত্রে, তারা অবশ্যই এ কারণে বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য। আমরা শ্রদ্ধার সাথে তাদের অবদান স্মরণ করি। পূণ্যভূমি সিলেটে ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজন হচ্ছে শুনে আমি খুবই আনন্দ অনুভব করছি। এর আয়োজক জালালাবাদ কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশেষ সাধুবাদ প্রাপ্য। এর মাধ্যমে শিল্পের প্রতি তাদের প্রগাঢ় অনুরাগের প্রতিফলন ঘটেছে। আশা রাখি ক্রমে তারা শিল্পের অগ্রযাত্রায় তারা আরো অবদান রাখার জন্য এগিয়ে আসবেন।
    ড. আব্দুস সাত্তার
    সাবেক পরিচালক, চারুকলা ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • ক্যালিগ্রাফি বলা যেতে পারে হস্তলিপি শৈলির মাধ্যমে চিত্রাঙ্কণ- না, বোধ হয় ঠিক হল না।কালি কলম বা তুলি দিয়ে বর্ণমালার বিভিন্ন অংশের মধ্যে নির্ভুলভাবে মাপ বজায় রেখে, একই ধরনের শৈলির অনুসরন করে নয়নহরা দৃষ্টিনন্দন চিত্রশিল্পকে বোধ হয় ক্যালিগ্রাফি বলা যেতে পারে। বর্ণমালার একই বর্ণেরও ক্যালিগ্রাফি হতে পারে। ইসলামিক সভ্যতায় আরবি,ফার্সী বা উর্দু ভাষার ‘আলিফ’ দিয়ে কতো যে ক্যালিগ্রাফি রচিত হয়েছে, লেখা জোখা নেই। চীনা সভ্যতায়, ইসলামি সভ্যতার মতোই ক্যালিগ্রাফি পুরোপুরি শুদ্ধ শিল্পের মর্যাদা পেয়ে আসছে। রোমান ও ইটালী শৈলী ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠীর লিখন পদ্ধতিতে প্রভাব বিস্তার করেছিল মুদ্রণযন্ত্র আবিস্কারের পূর্ব পর্য্ন্ত। ১৫৪০ খৃস্টাব্দ থেকে ছাপাখানার বিকাশের সাথে সাথে মশুলশিল্প প্রধান্য পেয়েছে। কম্পিউটারে কী এসএমএস করার জন্য ইংরেজি বর্ণমালা প্রায় সর্বত্রই চলছে। বাংলা ছাপাখানায় উইকিনস সাহেবের নির্দেশে কর্মকার পরিবার প্রবর্তিত পুথির বর্ণমালার অনুসরণে কাঠের টাইপ গঠিত হয়েছিল – মনো লাইনো যুগ পেরিয়ে এখনও প্রায় তারই অনুসৃতি কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া। এ নিয়ে ষৈয়দ লুৎফুল হক বৈজ্ঞানিকভাবে কাজ করেছেন, আবার শৈলীর দিক থেকে সত্যজিৎ রায়, কাইয়ুম চৌধুরী, পূর্ণেন্দু পত্রী পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেছেন, মুনীর অপটিমার জন্য মুনীর চৌধুরীর অবদান কে অস্বীকার করবেন? ক্যালিগ্রাফি নিয়ে আমাদের দেশীয় শিল্পিদের আগ্রহ ও নীরিক্ষার শেষ নেই্। সেই আগ্রহ ও নিরীক্ষারই নতুন একটি প্রচেষ্টা দেখতে পাচ্ছি সিলেটের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ জালালাবাদ কলেজ আয়োজিত ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীতে। এ কারণে আমি তাদেরকে মুক্তকন্ঠে সাধুবাদ দিই। তারা বিশেষভাবে ধন্যবাদ প্রাপ্য। সিলেট আমার প্রিয় একটি স্থান। এখানে বার বার আসতে পেরে আমি আপ্লুত হই। আমি এক মনের মনিকোঠায় স্থান দিয়ে রেখেছি। প্রদর্শনীতে যে সকল শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের অনেকেই শিল্পী হিসেবে অগ্রজ। শিল্পী হিসেবে তারা অনুসৃত যশমান এই সকল শিল্পীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীর জন্য জালালাবাদ কলেজ গর্ব করবে, নি:সন্দেহে বলা যায়। সকলকে সাধুবাদ।
    আসদ চৌধুরী
    কবি ও সাহিত্যিক